করোনার মধ্যে এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা ! শিক্ষার্থীরা সরকারের দৃষ্টি করতে চায়। জানুন বিস্তারিত

 


লিখেছেঃ আব্দুস সামী

ফেনী থেকে

করোনার মধ্যে এসএসসি নয় গ্রুপ-এ এড হওয়ার বুঝতে পারলাম বেশীর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করতেছে না৷ আগ্রহ না প্রকাশও কারণ আছে ৭ মাস যাবৎ নেই স্কুল, প্রাইভেট৷ অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হলেও ফেবুতে নোটিফিকেশন আর মেসেঞ্জারে মেসেজের ঠেলায় আর মনোযোগ থাকেনা অনলাইন ক্লাসে। শিক্ষার্থীদের পড়ার হার প্রতিদিন ১০ ঘন্টা থেকে ২ ঘন্টা নেমে এসেছে। আবার, গতদিন এইচএসসি পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কারণ একটা করোনা ভাইরাস। করোনার সময় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়া আশংকায়। 
আমি পরীক্ষা দিতে অনীহা প্রকাশ করতেছিনা কিন্তু শিক্ষাবর্ষ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত৷ পরীক্ষা ফেব্রুয়ারীতে না হয়ে এপ্রিল বা মে মাসে হলে যাহোক ভালো ফলাফল করা যাবে৷ 


কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি সেশনজট না লাগার জন্য পরীক্ষা বাতিল করে এবং পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষা ফলাফল উপর মূল্যায়ন করে তাহলে অবশ্যই প্রত্যেক বিষয়ের দুই পরীক্ষার নাম্বার যোগ করে ২ দ্বারা ভাগ করলে পয়েন্ট হিসাব করলে আমরা উপকৃত হবে৷ কারণ আমাদের বছর থেকে অপশনাল বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে৷ ফলে আমদের ফলাফলের ক্ষেএে এই বিষয়টিও শিক্ষামন্ত্রণালয়ের আমলে আনতে হবে৷  যাইহোক আমদের পরীক্ষা বাতিল হওয়ার কোনো ঘোষণা আসেনি। তাই, পরীক্ষা বাতিলের আশায় না বসে থেকে পড়াশোনা কমবেশি চালিয়ে যাওয়া ভালো হবে৷ আবার, ৯ম-১০ম শ্রেণীর অনেক কনসেপ্ট ইন্টারে কাজে লাগবে। করোনার প্রকোপ কমে গেলে ফেব্রুয়ারীতে আমাদের পরীক্ষা নিতে পারে৷ তা না হলে সেশনজট লাগবে।

আমার প্রশ্ন করোনা ভাইরাসে শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হওয়ার আশংকায় এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে৷। ফেব্রুয়ারীতে নিলে আমরা সুস্থভাবে পরীক্ষা পারবো কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের পড়ালেখায় যে ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে হয়তো আমাদের ফলাফল খারাপ হবে। দায়ভারটা কে নিবে? আবার, অামদের ২৫% শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস করতে পারছেনা৷ ৭ মাস যাবৎ তাদের আশাভরসার বিদ্যাপীঠ বন্ধ। তাদের অবস্থা আরো শোচনীয়।

No comments

Powered by Blogger.