কিভাবে লম্বা হওয়া যায় মাত্র ২০ দিনেই

কিভাবে লম্বা হওয়া যায় মাত্র ২০ দিনেই

আমাকে একজন প্রশ্ন করেছে যে সে লম্বা হতে চায়! কিন্ত কিভাবে লম্বা হওয়া যায় যে তা জানে না। সে আমাকে জানালো যে তার মা নাকি তাকে প্রতিদিন ২ গ্লাস করে কমপ্লেইন খতে বলে এই কমপ্লেইন লম্বা হও্যার পেছনে কোন ভুমিকা পালন করে কিনা তা আময়ার জানা নেই।আপনাদের কারো জানা থাকলে আমাকে জনাতে পারেন। তো যাইহোক আজকে আমি আমার আবিজ্ঞতা এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখার আলোকে হালকা পাতলা তুলে ধরার চেষ্টা করবো যে আপনি কীভাবে লম্বা হবেন সজেই বা আসলে কি লম্বা হওয়া সম্ভব।চলুন তাহলে আর আপনার সময় নষ্ট না করে কিভাবে লম্বা হবেন তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
মানুষের শরীর বিভিন্ন ধাতুর মিশ্রণ দিয়ে তৈরি। মানুষ ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়, যেখানে প্রাপ্ত বয়স্কদের উচ্চতা কখনো কখনো ৪০ বছর পর্যন্ত সংকুচিত হয়। তবে আপনার উচ্চতা বাড়া বা কমা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্ভর করে আপনার বয়সের গণ্ডির ওপর। তবে আপনার কিছু সচেতনতা পারে আপনার উচ্চতা বয়সের সঙ্গে সমান তালে বৃদ্ধি করতে। চলুন জেনে নেই উপায়সমূহ-

ভাজ হয়ে বসা এডিয়ে চলুন :
আপনি যখন চেয়ারে বসেন তখন অবশ্যই সোজা হয়ে বসুন। আপনার কাঁধ থাকা উচিত সোজা এবং পাদদেশ চেয়ারের পেছনের সাথে লাগোয়া। যদি আপনি সবসময় এরকম সংকুচিত ভাবে বসে থাকেন তবে আপনার শিরদাঁড়া অস্বাভাবিক আকার ধারণ করবে। যা আপনাকে আপনার থেকে খাঁটো দেখাতে যথেষ্ট। আপনার শিরদাঁড়ার মাংশপেশি সংকুচিত হতে থাকলে আপনি এক সময় বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত পর্যন্ত হতে পারেন। তাই দীর্ঘ সময় বসে কাজ করতে হলে যা করতে পারেন তা হচ্ছে-
কিভাবে লম্বা হওয়া যায় মাত্র



* যদি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বসে কাজ করতে হয়, তাহলে কাজের ফাঁকে প্রতি ৩০ মিনিট পর পর উঠে হাঁটাচলা করুন।
* আপনি কোথাও বসে কাজ করছেন তখন অবশ্যই আপনার পা ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে রেখে বসুন এবং সাথে পা যেন মাটি স্পর্শ করে সেটি পর্যবেক্ষণে রাখুন।

ঘুমের সময় মাথায় রাখবেন যে বিষয়গুলো :
ঘুমের সময় আমাদের ২৪ ঘন্টার প্রায় এক তৃতীয়াংশ অংশ সময় কেটে যায়। তাছাড়া ঘুমের সময় আমাদের মেরুদণ্ড সবচেয়ে বেশি সংকুচিত হয় এবং তা একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থাকে। বাড়ন্ত বয়সে যা খুবই প্রভাব ফেলে আপনার উচ্চতার উপর। তাই ঘুমোবার সময় আরামদায়ক বিছানার ব্যবস্থা করুন, যাতে মেরুদণ্ড সোজা থাকে। যা আপনার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে যে ব্যাপারগুলো মাথায় রাখবেন তা হচ্ছে-

* পিঠের উপর সমস্ত চাপ দিয়ে রাখুন, ঘুমানোর সময়। যদি আপনি পিঠের উপর ভর দিয়ে এক নাগারে ঘুমোতে না পারেন তবে পাশফিরে ঘুমান।
* যখন আপনি পাশ ফিরে ঘুমাবেন তখন মাথার উপর বালিশ এবং দু`পায়ের মাঝামাঝি বালিশ ব্যবহার করুন। এটি আপনার মেরদণ্ডের মাংশপেশি সংকুচিত হতে দেয় না।  

দেয়ালের মাধ্যমে উচ্চতা পরীক্ষা করুন :
দেয়ালের সাথে প্রতিদিন উচ্চতা নির্বাচন করলে আপনি আপনার উচ্চতা সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন। প্রতিদিন কতটুকু করে বৃদ্ধি পাচ্ছেন তা আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে। আপনি প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছেন যেভাবে বুঝতে পারবেন:
    
* আপনার পিঠ দেয়ালের নির্দিষ্ট করা স্থান থেকে ১ বা ২ ইঞ্চি বৃদ্ধি পাবে। আপনার ঘাড়ের উচ্চতারও বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ২ ইঞ্চি করে। তাহলে বুঝবেন আপনার বৃদ্ধি পাচ্ছেন সঠিকভাবে।

* যা আপনাকে আপনার উচ্চতা মাপতে সাহায্য করবে।

আয়নার সাহায্য পরীক্ষা করুন :
আয়নার সামনে দাঁড়ান। আপনার মাথা সোজা থাকতে হবে না সামনের দিকে ঝুঁকে না পিছনের দিকে ঝুঁকে। আপনার চিবুকের ছায়া ফ্লোরের সাথে সমান্তরাল ভাবে পড়তে হবে। আপনার কাঁধের লাইনের সাথে কানের ছায়া পড়তে হবে। আপনার পিছনের অংশের ছায়া অবশ্যই বাঁকা থাকতে হবে। তাহলেই বুঝবেন আপনার বৃদ্ধি সঠিকভাবে হছে।

প্রতিদিন ব্যায়াম করুন :
প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০ মিনিট ব্যয়াম করা উচিত। ব্যায়াম আপনার শরীরের গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি করে, যা আপনার মেরুদণ্ডকে শক্তিশালী করে।

রাতে পর্যাপ্ত ঘুম :
পর্যাপ্ত রাতের ঘুম আপনার উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শূন্য থেকে ৩ বছর বয়সী শিশুদের ১০.৫ থেকে ১৮ ঘন্টা ঘুমালে উচ্চতা সঠিক হারে বৃদ্ধি পায়। কিশোর বয়সীদের দিনে ৮.৫ অথবা ৯ ঘন্টা করে ঘুমানো উচিত।
কিভাবে লম্বা হওয়া যায়


এতক্ষন সাথে থেকে পুরো লেখাটি পডার জন্য ধন্যবাদ তো আপনি যদি উপরোক্ত বিষয়গুলি ভালোভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আশা করা যায় যে কিভাবে লম্বা হওয়া যায় বা কিভাবে লম্বা হওয়া যায় মাত্র ২০ দিনে, লম্বা হওয়ার সহজ উপায় এসব প্রশ্ন আর জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন হবে না।

No comments

Powered by Blogger.